মোঃ এনামুল হক,লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টার :  নড়াইল জেলার,নড়াইল জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক হোসেন মন্জুর পিতা মরহুম আলতাফ হোসেন সিকদারের ৪৪তম মৃত্যবার্ষিকী। আলতাফ হোসেন সিকদার ১৯৭৭ সালের ২৪ অক্টোবর মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন,তিনি ১৯২৩ সালের ৩০জুন নড়াইল সদরের বোড়ামারা গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তিনি বক্তব্যের শিক্ষক ও মসজিদের ঈমাম ছিলেন,তার সহধর্মিণী ছিলেন গৃহিণী। ১৯৪৬ সালে যশোর এমএম কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

আলতাফ হোসেন সিকদার কলেজ ছাত্র সংসদের জি এস ছিলেন।তিনি অবিভক্ত বাংলার ছাত্রলীগ যশোর জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। তথাকথিত পাকিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে ছিলেন। ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতার পর তিনি নড়াইল মহকুমার হোম গার্ড তথা নায়েবে সালারে জেলার পদে কর্মকর্তা থাকা কালে পাকিস্তান আনসার বাহিনী গঠিত হলে মহকুমা এডজুটেন্ট পদে সরকারি চাকুরিতে যোগ দেন।১৯৫৮ সালে মার্শাল জারি হলে তিনি চাকুরিতে ইস্তফা দিয়ে নড়াইলের রূপগঞ্জে বসবাস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন এবং পাকিস্তান মুসলিমলীগে যোগদান করেন। তিনি যশোর জেলার সহ সভাপতি ও নড়াইল জেলার সভাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন।

নড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের ভোটে প্রথম মুসলমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৬৫ সালে নড়াইল, মাগুরা,নির্বাচিত এলাকা হতে তিনি জাতীয় পরিষদ সদস্য(MNA) বর্তমান এমপি নির্বাচিত হন। তিনি অবহেলিত নড়াইলের প্রথম রুপকার, তিনি নড়াইল ষ্টেডিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা,পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যৎ উন্নয়ন বোর্ড,সদর হাসপাতাল,বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভূমি অধিগ্রহন ও কার্যক্রম তার আমলে শুরু হয়।তিনি থানা উন্নয়ন প্রকল্পের সভাপতি এবং সাঃসম্পাদক ছিলেন।তৎসময়ের স্বনামধন্য ব্যাক্তিত্ব “মোক্তার সুবাস চন্দ্র বসু” এছাড়া তিনি আনসার ক্লাব ও টাউন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। নড়াইল মডেল হাই স্কুল ও দিলরুবা গালর্স হাই স্কুল সরকারি করন প্রক্রিয়া তার আমলেই শেষ হয়।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে তার আমলে ক্যাডেট কলেজ নড়াইলের জন্য পাশ হলেও স্হানীয় দলাদলির কারনে ঝিনাইদহে স্হানান্তর হয়। তিনি রূপগঞ্জ বণিক সমিতি ও ডিফেন্স পার্টি গঠন করেন। বনিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাঃসম্পাদক ছিলেন।ভওয়াখালী গ্রামকে মডেল ভিলেজ ঘোষনা, চাষীক্লাব ও ফুটবল ময়দানের প্রতিষ্ঠাতা,নড়াইল ভিক্টোরীয় কলেজিয়েট স্কুলের সেক্রেটারি ছিলেন ও স্কুলের নতুন ভবন নির্মান করেন।

এছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি সংশিষ্ট ছিলেন।তিনি ১৯৬৯ সালে রাজনৈতিক দলের স্হানীয় ও কেন্দ্রীয় সকল পদ হতে অবসর গ্রহন করে রাজনৈতিক দুর্দশীতার পরিচয় দেন। তার মৃত্যকালে মাতা জোহরা খানম ৯ ভাইবোন, অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান। সর্বশেষ ইশতেয়াক হোসেন মন্জু তার পিতা মরহুম আলতাফ হোসেন সিকদারের জন্য সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন আলতাফ সিকদারকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব দান করুক আমিন।